বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকার বৈধ সময়সীমা গত ১৮ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে, এবং অন্তর্বর্তী সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে। তবে, শেখ হাসিনা ভারতে কী মর্যাদায় অবস্থান করছেন—রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত হিসেবে নাকি শরণার্থী হিসেবে—তা নিয়ে এখনো নীরব রয়েছে ঢাকা ও দিল্লি। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রও ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে, কীভাবে তারা শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিচ্ছে। জানা গেছে, তিনি শিগগিরই ভারত ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারেন।
গত ৫ আগস্ট, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন এবং সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যান। তখন থেকেই তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। তার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে, এবং ভারত জানিয়েছে যে তিনি শিগগিরই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে চলে যাবেন।
ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, সময়সীমা শেষ হলেও বিভিন্ন দৃষ্টান্ত রয়েছে যেখানে অনেকেই অনুমতি ছাড়াই অন্য দেশে অবস্থান করেন। তবে, আইনজীবীদের মতে, ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে গণ্য করছে।
এদিকে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ ১৫০টিরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে, এবং বিচার শুরু হলে বাংলাদেশ তাকে বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় ফেরত চাইতে পারে। তবে, ভারতের আইনজীবীদের মতে, এই চুক্তি শুধু অপরাধীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের ক্ষেত্রে নয়।